বঙ্গবন্ধু বিজয়ের জন্যই প্রস্তুত করেছিলেন – অজয় দাশগুপ্ত : খ্যাতিমান সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় ‘ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থে ‘ইন্দ্রপাত’ নিবন্ধে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে লিখেছেন ১৯৭৪ সালে মহান একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানের পর জানতে চাই ‘বাংলাদেশের আইডিয়াটা প্রথম কবে আপনার মাথায় এলো?’ চটচলদি উত্তর এলো ‘সেই ১৯৪৭ সালে’।

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেনÑ ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দিনে তিনি ছিলেন কলিকাতা মহানগরীতে। মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অন্যায়ভাবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দিকে বাংলার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে খাজা নাজিউদ্দিনকে ওই দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই ঘোষণা দিলেনÑ ঢাকা হবে পূর্ব বাংলার রাজধানী। এ ঘোষণার ফলে কলিকাতার ওপর আমাদের আর কোনো দাবি রইল না। অথচ তখনও ব্রিটিশ সরকার ঠিক করে নাই কলিকাতা পাকিস্তানে আসবে না, না হিন্দুস্থানে থাকবে।
[ বঙ্গবন্ধু বিজয়ের জন্যই প্রস্তুত করেছিলেন – অজয় দাশগুপ্ত ]
কলিকাতা হিন্দুস্থানে পড়লেও শিয়ালদহ (যশোর ও খুলনা থেকে বনগা—বারাসাত—রানাঘাটকৃষ্ণনগর—বশিরহাট—২৪ পরগনার বিস্তৃত ভূখণ্ডসহ) পর্যন্তপাকিস্তানে আসার সম্ভাবনা ছিল। যে কলিকাতা পূর্ব বাংলার টাকায় গড়ে উঠেছিল সেই কলিকাতা আমরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলাম। কলিকাতা পাকিস্তানে থাকলে পাকিস্তানের রাজধানী কলিকাতায় করতে বাধ্য হতো। [পৃষ্ঠা ৭৬—৭৮]
বঙ্গবন্ধুর বয়স তখন মাত্র ২৬ বছর। পড়াশোনা অব্যাহত রেখেই ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন সক্রিয়ভাবে। বিখ্যাত ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। দুর্ভিক্ষ ও সা¤প্রদায়িক দাঙ্গাকবলিত এলাকায় লঙ্গরখানা পরিচালনা করেছেন। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থেলিখেছেন ‘আমি চিন্তাভাবনা করে যে কাজটা করব ঠিক করি, তা করেই ফেলি। যদি ভুল হয় সংশোধন করে নেই’। [পৃষ্ঠা—৮০]

বঙ্গবন্ধু ছাত্র জীবনেই ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন। পাকিস্তানের ওপর কতৃর্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট মহল পূর্ব বাংলাকে রাজনৈতিক—অর্থনৈতিক—সাংস্কৃতিকভাবে কোনঠাসা করে রাখতে মনস্থির করে ফেলেছে।
করাচি—লাহোর হবে তাদের ক্ষমতার কেন্দ্র। কলিকাতা মহানগর বা তার সংলগ্ন এলাকা না পেলেও পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে জনসংখ্যায় এগিয়ে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথমেই দখল নিয়েছিল ভারতবর্ষের বাংলা ভূখণ্ড। কারণ অঞ্চলটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। বঙ্গবন্ধু এ ভূখণ্ডে নতুন করে বঞ্চণা—অবহেলা মেনে নিতে রাজী ছিলেন না।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই বাংলা ভাষার ওপর আঘাত এলে তিনি বুঝতে পারেন সামনে আরও বিপদ। তিনি তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জনমত গঠন, এ দাবির সপক্ষে আন্দোলন ক্রমে জোরদার এবং উপযুক্ত সংগঠন প্রতিষ্ঠা।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন ছিল এরই গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমরা বলে থাকি ‘ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার মহান সংগ্রাম’। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সালে পর্যন্তএই কালপর্বে ছাত্রলীগ ছিল বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য হাসিলে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য হাতিয়ার। ছাত্রলীগের প্রথম আনুষ্ঠানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালের ১৬—১৭ সেপ্টেম্বর। বঙ্গবন্ধু সভাপতির ভাষণে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি ছাত্রলীগ কর্মীদের পাঠচক্র ও বিতর্ক সমিতি গঠন এবং নিরক্ষরতা দূর করায় সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন।
একইসঙ্গে তিনি দাবি তোলেন প্রাপ্তবয়ষ্ক সকলকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্রসজ্জিত করতে হবে। বিদেশী হামলা হলে যেন পূর্ব বাংলার মানুষ শত্রুর মোকাবিলা করতে পারে। পাকিস্তান সরকার এ দাবি মানে নাই। তারা দুই যুগ আমাদের প্রায় উপনিবেশে
পরিণত করে রাখে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেন। পাকিস্তানি শাসকরা এ ভূখণ্ডকে পদানত করে রাখতে চেয়েছিল সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের দম্ভে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সুপরিকল্পিত ও পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপের কারণে বীর বাঙালি যথাসময়ে অস্ত্র তুলে নিতে পারে এবং শত্রুবাহিনীকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে বাধ্য করে।

বাংলাদেশের জনগণ কেবল যথাসময়ে অস্ত্র তুলে নেয়নি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা শুরুর দুই সপ্তাহ যেতে না যেতে মৃত্যু উপত্যকায় অবস্থান করেও বাংলাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে। এই সরকার দ্রুততম সময়ে লাখ লাখ ছাত্র—তরুণকে গেরিলা ও প্রত্যক্ষ যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়ে রণাঙ্গনে প্রেরণের পাশাপাশি ভারতে আশ্রয় নেওয়া এক কোটি শরণার্থীর থাকা—খাওয়ার ব্যবস্থা করে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেই এ সরকার নিজস্ব কলাকুশলী দিয়ে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা, উন্নয়নের আর্থসামাজিক রূপরেখা প্রণয়নের জন্য পরিকল্পনা সেল গঠন এবং পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও বিভিন্ন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ে বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় কূটনৈতিক অভিযানসহ বহুবিধ কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করতে পারে।
বঙ্গবন্ধু মহান বিজয়ের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ শত্রুর কবল থেকে মুক্ত হওয়ার তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মিত্র বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশ ভূখণ্ড ছেড়ে স্বভূমে ফিরে যায়।
স্বাধীনতার জন্য বাঙালিরা প্রস্তুত নয়Ñ এ প্রশ্ন তুলে যারা ‘বাস্কেট কেস’ বা ‘বটমলেস বাস্কেট’ হিসেবে বাংলাদেশকে উপহাস করেছিল, তারা অবাক বিস্ময়ে দেখেÑ অল্প সময়ের মধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্তদেশটির প্রাথমিক পুনর্গঠন শেষ হয়েছে; জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ঘোষণা করে প্রণীত হয়েছে সংবিধান। শিক্ষা ও জ্বালানি নীতি, সমুদ্র আইনÑ এ সব প্রণয়নেও বেশি সময় লাগেনি।
স্বাধীনতার চার বছর পূর্ণ না হতেই বঙ্গবন্ধু ডাক দেন দ্বিতীয় বিপ্লবেরÑ মূল লক্ষ্য উপনিবেশিক আমলের জঞ্জাল দুর্নীতি—অনিয়ম নিমূর্ল এবং স্বনির্ভরতা অর্জন। স্বনির্ভরতা যে কল্পিত নয়, আমাদের ভেতরেই এর রসদ রয়েছে, সেটা বলেন যুক্তরাষ্ট্রে।

জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের পর ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু সাধারণ পরিষদে ভাষণ প্রদানের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। বিশ্ব সভায় বাংলা ভাষায় বক্তব্য রাখার পর পরই যান ওয়াশিংটন, সে সময়ের প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের সঙ্গে আলোচনার জন্য। তার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এবং বিশ্বব্যাংকের দুই সিনিয়র অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশকে তাচ্ছিল্য কর বাস্কেট কেস হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তাদের বিবেচনায় ‘বাংলাদেশ যদি উন্নতি করতে পারে, তাহলে বিশ্বের যে কোনো দেশ উন্নতি করতে পারবে’।
এর সহজ ব্যাখ্যা করা যায় এভাবে এই ছেলে যদি এসএসসি পাস করে তাহলে কলাগাছও পাস করবে।
বঙ্গবন্ধু হেনরি কিসিঞ্জার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদদের বাংলাদেশ সম্পর্কে তাচ্ছিল্যপূর্ণ মন্তব্যের মোক্ষম জবাব প্রদানের জন্য ওয়াশিংটনকেই বেছে নেন। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ গ্রন্থে লিখেছেন ‘ওয়াশিংটনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, কেউ কেউ বাংলাদেশকে International Basket Case বলে উপহাস করেন। কিন্তু বাংলাদেশ Basket Case নয়।
দুইশত বছর ধরে বাংলাদেশকে লুট করা হয়েছে। বাংলাদেশের সম্পদেই শ্রীবৃদ্ধি করা হয়েছে লন্ডন, ডান্ডি, ম্যাঞ্চেস্টার, করাচি, ইসলামাবাদের।…. আজো বাংলাদেশে অফুরন্তসম্পদ রয়েছে। একদিন আমরা দেখাবো বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে’।
দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’ ও জাতির পিতার আদর্শ কেবল নয়, তাঁর নাম উচ্চারণও নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এক মুজিবের রক্ত থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম নেবে এ স্লোগান বাস্তবেই মূর্ত হয়ে ওঠে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের বিপুল সমর্থন ধন্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্ব গুণে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের গ্লানিমুক্ত হয়ে মধ্যম আয়ের দেশের সারিতে উঠে পড়েছে, উন্নত বিশ্বের সারিতে স্থান করে নেওয়ার স্বপ্ন পূরণে ফেলছে দৃপ্ত পদক্ষেপ। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বহুবছর কালভার্ট—মাটির রাস্তা নির্মাণের মতো প্রকল্প বাস্তবায়নেও বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল দেশটি এখন বিশ্বব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অনন্য অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারে, দশ লাখের বেশি বিপন্ন রোহিঙ্গাকে বছরের পর বছর আশ্রয় ও খাদ্য প্রদানের পাশাপাশি একটি অংশকে ভাসানচরে স্থানান্তরে স্বাধীন চেতা মনোভাব প্রদর্শন করতে পারে।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও বিজয়ের জন্য বাংলাদেশকে যেমন প্রস্তুত করেছিলেন, তেমনি মহৎ লক্ষ্য অর্জনে ত্যাগ স্বীকারেও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তাঁর স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে কোটি কোটি মানুষ ‘যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা’ করেছিল। তবে কেবল জনগণকে ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত করা নয়, তিনি বিশ্বাস করতেন ‘আপনি আচরি ধর্মে’।

পাকিস্তানের অস্তিত্বের দুই যুগের অর্ধেকের বেশি সময় তাঁর কেটেছে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে, তাঁর দুই পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামাল মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে অস্ত্র হাতে লড়েছেন পাকস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে দুঃসহ গৃহবন্দিত্বের জীবনেও ছিলেন অদম্য।
১৯৫২ সালের ১৪ জুন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দিকে বঙ্গবন্ধু লিখেছিলেন “Please don’t think for me. I have born to suffer’’. [গোয়েন্দা প্রতিবেদন, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৩৯]
বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের জনগণের জন্য এ দুঃখ—কষ্ট তিনি বরণ করে নিয়েছিলেন হাসি মুখে। তাঁর এ ত্যাগ বৃথা যায়নি, বাঙালির ত্যাগ বৃথা যায়নি। বিশ্বের বুকে এক গর্বিত, দেশের নাম বাংলাদেশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত চলার পথে উজ্জ্বল আলোর মশাল ধরে আছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহৎ লক্ষ্যে আমরা পৌছাবই।
লেখক : মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক
আরও পড়ুন:
“বঙ্গবন্ধু বিজয়ের জন্যই প্রস্তুত করেছিলেন – অজয় দাশগুপ্ত”-এ 2-টি মন্তব্য