৪ ডিসেম্বর ১৯৭৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কমিনিষ্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণঃ সম্মানিত সভাপতি কমিনিষ্ট পার্টির সদস্য বৃন্দ উপস্তিত ভদ্রমন্ডলি ভদ্রমহিলাগণ ও দুর দুরান্ত থেকে আগত অতিথিবৃন্দ। আপনারা আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আপনারা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন, আপনাদের কংগ্রেসে দু’কথা বলার জন্য -সে জন্য সত্যিই আমি আপনাদের আবার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আজ স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে আপনারা আপনাদের কংগ্রেস করতে পারছেন।

৪ ডিসেম্বর ১৯৭৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কমিনিষ্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
২৫ বৎসরের আন্দোলনে আপনাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত এবং আমার সহকর্মীদের এক সাথে কাজ করেছেন তা আমরা দেখেছি যে, কি দুখঃ-কষ্টের মধ্য থেকে, কি অত্যাচার-অবিচার সহ্য করে আপনাদের কাজ কর্মী কমিনিষ্ট পার্টির, বছরের পর বছর কারাগারের মধ্যে বন্দি অবস্থায় বয়েছে। আমাদের সহকর্মীরা আওয়ামীলীগ পার্টির বা অন্যান্য পাটির কর্মীরা বছরের পর বছর কারাগারে বন্দি রয়েছে। কোনদিন আপনাদের সুযোগ দেওয়া হয় নাই। আপনাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই।
আপনাদের পার্টিকে বে-আইনিভাবে কর্মীর উপর অত্যাচার করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি করুন ইতিহাস। প্রগতিশীল, বিপ্লবী লোক যারা ছিল_: তাদের অত্যাচার-অবিচার ও জুলুম সহ্য করতে হয়েছিল। বোধহয় ১৯৪৭ সালে কিছুদিনের জন্য আওয়ামীলীগ যখন স্টাবলিষ্ট হয়েছিল, তখনই কমিনিষ্ট পাটি সূর্যের আনন্দ দেখেছিল, এর আগে কোনদিন সূর্যের আলো দেখতে পারে নাই। আজ আপনারা স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে আমাদের কেস করছেন। স্বাধীনতার সংগ্রামে আপনারা অংশগ্রহণ করেছেন আপনাদের কর্মীরা ত্যাগ স্বীকার করেছে, বাংলার মানুষের পাশে দাড়িয়ে আপনারা সংখাম করেছেন।
এ সংগঠন কোনদিন ডুবে থাকতে পারে না। আমি জানি বাজান জমি জনি যে, অনেক সয় ৯৯৯২, ৬৫ সালা বা তার আগে, অনেক সময় রাতে অন্ধকারে যখন জেল থেকে বের হয়ে এসেছি তখন অনেক কমিনিস্ট জনের সাথে আমার দেখা হয়েছে কারাগারে নির্জন প্রকোষ্টে যখনই ছিলাম তখনও অনেকে আপনাদের কর্তথসের সঙ্গে বছরের পর বছর বসে অনেক কথা বার্তা হয়েছে,
আলোচনা করবার সুযোগ পেয়েছি, আপনাদের জানবার বোঝবার সুযোগ পেয়েছি আপনাদের জানবার বোজবার সুজক পেয়েছি স্থাধীনতা পেয়েছি। যে ইতিহাস কংগ্রেস সালাম বলছেন যে বিদেশী শক্তিদের… পাকিস্তানে সামরাজ্যবাদীরা বাংলার বুকে..সৃটি করেছিল, তা আপনারা ভাল করে জানেন। কামরার হারার শালি দিনা সদস্য আছেন তাদের বলতে চাই না, কিন্ত কতোগুলো লোক, এঁ সমাজতন্ত্রের নামে, আইসা যারা আমাদের লোক বলে দাবি করছে, তারা বিদেশী শত্রুদের সাহায্য নিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে বানচাল করতে চেষ্টা করেছিল।
তাদের লেখা আজও বন্ধ হয় নাই। শত্রুকে আমরা ছিল। কিন্তু এদের চিনতে কষ্ট হয়, যারা প্রগতির নামে যারা সমাজতন্ত্রের নামে, যারা গণতন্ত্রের নামে প্রগতিকে আঘাত করে, সমাজতন্ত্রকে আঘাত করে, জাতীয়তাবাদকে আঘাত করে, ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আঘাত করে, এদের চিনতে আমাদের কষ্ট হয়। এরাই হলো সবচেয়ে বড় শত্রু যে কোন দেশের বিপ্লব আন্দোলনের ।
স্বাধীনতার সংগ্রামের সময় আমরা দেখতে পেয়েছি যে, যখন আপনারা সংগ্রামে এগিয়ে গেছেন, ২৫ শা মার্চ তারিখে যখন আমি ডাক দিয়েছিলাম স্বাধীনতার, আপনারা সবকিছু ভুলে গিয়ে, বাংলার মানুষ আপনারা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পরেছিলেন স্বাধীনতার সংগ্রামে । রা তখনও তারা যে প্রগতির নামে, দেশের দালালি করতে দ্বিধাবোধ করে নাই।

আমি জানিনা, মাঝে মাঝে আমার কাছে কনফিউশান এসে যায় যে মার্কসবাদ, লেলিন বাদ ভূলে…. ভুলে, শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বাধীনতা যারা বানচাল করতে চায় তারাই বড় শক্র, না সম্রাজ্জবাদ যে কিনতে চায় সে বড় শত্রু, মাঝে মাঝে আমার মধ্যে কনফিউশান হয়ে যায় । আজ স্বাধীন দেশের স্বাধীন মাটিতে আপনারা কংঘেস করেছেন। আপনাদের কর্মপন্থা আপনারা গ্রহণ করবেন, আপনারা যে শুনেছেন, আমি বলতে চাইনা, কংগ্রেস সালাম বলেছে যে স্বাধীনতার সংঘরামে বা তার পূর্বে যে আমরা একটি কলোনী ছিলাম এবং স্বাধীনতার সময় পশ্চিমারা বে আমাদের ক্ষতি করে যায়।
তারপর স্বাধীনতার পরে আমাদের কি কি কষ্ট এবং দুঃখ কষ্ট যা ভোগ করতে হয় তা আপনারা জানেন, তা আপনারা বোঝেন। আপনাদের আমি এজন্য মোবারকবাদ জানাই, বিশেষ করে বাংলাদেশের কমিনিষ্ট পাটির সদস্যদের, যে তারা সমন্ত দুঃখের সামনে বুক পেতে দিয়েছে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য এবং যে প্রগতিশীল নীতি আমরা গ্রহণ করেছি তাতে পূর্ণ অমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।
সে জন্য আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই। স্বাধীনতা অর্জন যেমন কষ্টকর, স্বাধীনতা রক্ষা করা তারচেয়ে কম কষ্টকর নয়। স্বাধীন হওয়ার পরে রক্তক্ষয়ী বিপ্রবের পরে দেখা গেছে দুনিয়াতে যে, প্রতিপক্ষের শক্র যারা, তারা বসে থাকে না, তারা সেই দেশের মধ্যে বিশৃংখার সৃষ্টি করার চেষ্টা করে এবং কাউন্টার রেত্যুলেশন যাকে বলা হয়, তা তারা চেষ্টা করে থাকে। কিন্ত পাকিস্তানের, দেশী- বিদেশী শোষকচক্র এদেশে চুপ করে বসে থাকে নাই। তারা চেষ্টা করতেছিল এদেশের মধ্যে বিশৃংজলা সৃষ্টি করতে ।
কারণ দেশের মধ্যে অভাব রয়েছে, দেশের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে। মানুষ দুঃখী, মানুষ খাবার পায় নাই, কৃষক আজ দুঃবী, শ্রমিক আজ দুঃখী। আজকে আমরা সাড়ে সাত কোটি লোক ৫৪ হাজার ক্ষয়ার মাইল। বাংলাদেশের অভাব-অনটন রয়েছে, আমরা দুইশ বছরের ইংরেজের শোষণে ছিলাম, ইংরেজের গোলাম ছিলাম ২৫ বহদর পাকিস্তানের গোলাম ছিলাম, তারা আমাদের ধ্বংস করেছে।
এটা স্বাধীনতার পরে বা বিপ্লবের পরে ৪০ বছরের ইতিহাস দেখেন, ইসরাইলের অবস্থা দেখেন, জাপানের ইতিহাস দেখেন, সোভিয়েতের ইতিহাস দেখেন। যুদ্ধের পর একটা দেশের অবস্থা কি হয়। আমাদের অবস্থা কোন অংশে ভালো ছিল না_ তা আপনারা জানেন।লক্ষ লক্ষ আমাদের বেকার ।….কল-কারখানা আমাদের এখানে করা হয় নাই, দুনিয়া থেকে আমাদের লজ্জা মুখ নিয়ে ফিরে আসতে হয়। এরপর আমাদের লকদের দুর্ভিক্ষের হার থেকা বাচতে হবে ।
সে জন্য আমাদের অনেক কিছু করতে হবে । সেই সুজক বিদেশি চক্র উৎপাত ছাস্তা করে । এর জন্য আমি বলি জে , আজকে যখন আমি দাক দিয়েছিলাম , আওয়ামীলীগ, যে পাটি সংগ্রাম করেছে, যে পাটি নেতৃত দিয়েছে, তার সঙ্গ নাম বাংলাদেশের কমিনিষ্ট পার্টি, যারা বলিষ্টরূপে ভূমিকা পালন করেছেন, দেশের সংগ্রামে যোগদান করেছেন। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং দেশের পৃ্র্গঠনের পথে অগ্রসর হওয়া কর্তব্য মনে করে আমি ডাক দিয়েছিলাম ।
আপনারা সকলে আমার ডাকে সাড়া দিয়েছেন, সেজন্য আপনাদের আমি কতৃজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং অভিনন্দন । আর রাজনীতি….যেটা বিশ্বাস করি, সেইপথ অবলম্বন করছি র, যে পাটির আমি প্রেসিডেন্ট ছিলাম, আর আওয়ামীলীগ সেই পার্টি ও তায় বিশ্বাস করতো । আজ আপনাদের সামনে আমরা শাসনতন্ত্র দিয়েছি। এরমধ্যে কোন কঠিন কোন গুরানো পেঁচানো কথা সেখানে নাই। আমরা চারটা নীতির উপর নির্ভর করে, আমি চারটা নীতিকে আমরা মেনে নিয়েছি। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ।
আমি আনন্দিত এবং এজন্য আপনাদের আমি আবার ধন্যবাদ দেই জে আপনারা চার নীতি বিশ্বাস করে জট গঠনের জন্য আগ্রসর হয়েসেন সে জন্য আপনাদের অভিনন্দন না দিয়ে পারি না। আমাদের বৈদেশিক নীতিতে বিশ্বাস,….। আমরা দুনিয়ার দুঃখী মানুষের পাশে দারান আমরা জেরুজালিমের অত্যাচারি লোকের শাথে আছি আমরা আরব দেশের দুঃখী মানুষের পাশে আছি কারন আমরা দুঃখী , আমরা এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মাধ্যমে স্বাধীনতা এনেছি।
যেখানে এ দেশের দুঃখী মানুষ, তার স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার মানুষ, বাংলার সরকার তাদের পক্ষে থাকবে, তাদের সাহায্য করাম আমরা কারো সঙ্গে দুশমনী করতে চাই না, আমার ছটো দেশ আমরা অল্প তে বিশ্বাস করি আমরা… আমাদের দেশের দিকে অনেক নজর থাকে । আমরা কারো নজরে পরতে চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিশ্বাস করি । আমরা বিশ্ব -শান্তিতে বিশ্বাস করি আমাদের ব্যাপারে কেউ হস্তক্ষেপ করুক আমরা তা চাই না। আমরা কারো ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাইনা । এতে আমাদের নীতি পরিস্কার ।

আজ এই দুনিয়াতে অনেক কথাই অনেকে বলে থাকেন। কিন্তু আমরা ঘটা মনে করি আইডিয়ার কথা, যেটা আমি বলেছিলাম যে দুনিয়া আজ দুই তাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। একটা শোষক, একটা শোষিত। শোষিতের পক্ষে কারা থাকে আর শোষকের পক্ষে কারা থাকে। তারা কে, তারা কারা, সে কথা দুনিয়ার মানুষ জানে, আমাকে আর ব্যাখ্যা করতে হবে না। সে জন্য আমি মনে করি আমাদের পথ একদম পরিস্কার এবং আমরা সেই রাস্তা ধরে চলব।
সমাজতন্ত্র আমাদের প্রয়োজন। সমাজতন্ত্র না হে এদেশের দুঃশী মানুষের বাঁচার উপায় নাই আমরা শোষণহীন সমাজ চাই, আমরা সম্পদের সুষম বন্টন চাই। আমাদের সহকর্মী ভাইরা, আপনাদের কাছে কথা আছে, সমাজতন্ত্রের রাস্তা সোজা রাস্তা নয়। সমাজতন্ত্র করতে হলে যে ক্যাডারের দরকার, সে ক্যাডার আমরা পয়দা করতে পেরেছি কিনা। এ সমস্ত অনেক গবেষণার আজকে আমাদের সেজন্য ক্যাডার পয়দা করতে হবে। কিন্ত সমাজতন্ত্র রাস্তায় আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি এর থেকে আমরা পিছাতে পারিনা, পিছাতে পারবনা, যে কোন ষড়যন্ত্র করুক না কেন।
সমাজতন্ত্রের প্রক্রিয়া, সমাজতন্ত্রের ন্যায় থাকে ওপেন–. তাকে এডভা্… বলা হর । তারা আজ দেশের মধ্যেই মাথা তোলার চেষ্টা করছে বিদেশীদের সাহায্যে কিন্তু তারা ভুল করেছে, বাংলাদেশ অত্যন্ত ছোট, বাংলার মানুষ অত্যন্ত জাগ্রত। বিদেশের : অর্থে বাংলাদেশের মধ্যে বিশৃধলার সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে বাংলার মানুষ তা_কি করে ভার প্রতিরোধ করতে হয় তা জানে এবং তার প্রমান তারা নিশ্চই ভবিষ্যতে পাবে। সে কথা তাদের শিরায় অতটুকু পৌঁছেছে কিনা আমি জানিনা। বিশৃংখলা সৃষ্টি করে কোনদিন দুনিয়া বিপ্লব হয় নাই।
এটা ডাকাতি হতে পারে, এরা খুনি হতে র, রাতের অন্ধকারে একজনের গলা কাটতে পারে, রাতে একজনের বাড়িতে ডাকাতি করতে পারে, একা পেরে একজনকে এটাক করতে পারে। তাতে বিপ্লব হয় না। এটা কমিনিজম নয়। এরা দুনিয়ার মাঝে পঁচে গেছে। এরা চিরকালই ভুল করে গেছে। যা ইচ্ছে ও বলছে, কোথেকে বুদ্ধি পেয়েছে, কোনদিক থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে সে কথা আসি নাই বললাম। কিন্তু সেই বুদ্ধিতে দেশের মধ্যে যে বিশৃহখলার সৃষ্টি করেছে, তাদের অবস্থা যে কি হয় আমি বলতে পারি না। তবে বাংলার মাটিতে সুবিধা হবে না বলে আমার মনে হয়।
কারণ, এই মাটিতে আমিতো বহুকাল রাজনীতি করেছি, এই মাটি আমি চিনি। সোজা ঘটনা, আমি তাদের কাছে ছাত্রলীগের সভায় বলেছি, পথ- উপপথ ভালো না।….হয় না। দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে বিপ্লব হয় না। বাংলার কৃষক মজুরকে বাদ দিয়ে বিপ্লব-হয় না। কিছু কিছু সাদা কাপড় পরে ঘরে বসে আলোচনা করলে বিপ্লব হয় না। বিপ্লব করতে হলে তার রাস্তা আছে, সে রাস্তা অনেক কঠিন রাস্তা এবং অনেক দিনের প্রয়োজন হয় একদিনে হয় না। প্রতিটা মাস আন্দোলন-সংগাম করতে হয়েছে, একদিনে আসেনা ।
যারা জানেন ইতিহাস, যারা দেখেছেন ইতিহাস, যারা পড়েছেন ইতিহাস, তারাই জানেন বিপ্রব করতে হলে কি ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়। রাত্রের অন্ধকারে কয়টা অস্ত্র যোগাড় করলে, চোরের মত ঘরে ফুসফুস করিয়া কাউকে গলা কাটলে বিপ্লব করা যায় না, তারা ডাকাত বা খুনি হয়। যাক সেসব কথা, পরিস্কার কথা আমরা সোসালিজমে যাবার, সোসালিজম এত সোজা না। আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি যাতে ভবিষ্যতে এদেশে সমাজতন্ত্র কায়েম হয়। সে পদক্ষেপ নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। বাধা আমাদের আসবেই। যাদের কাছ থেকে আমরা সম্পদ নিয়েছি।

যারা এখানে সম্পদ ফেলে গেছে, তাদের দালালরা বিদেশী শক্তিরা, তারা আজকে চেষ্টা করছে আমাদের এই সমাজতান্ত্রিক ইকোনমি…বানচাল করার জন্য । যাতে…হয়, প্রডাকশনে কম হয়, যাতে দুশমনরা খুশি হয়, মানুষের কষ্ট হয়। আপনাদের কর্তব্য হবে সেদিকে আপনাদের নজর দেওয়া। কারণ, সমাজতন্ত্র এই রাষ্ট্রে করতে হলে শ্রমিক শ্রেণীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে এবং শ্রমিক শ্রেণীকুলদের ঘোর ডিসিপ্রিন হতে হবে। বাংলার কৃষক কিন্তু অত্যন্ত ভালো ।
বাংলার কৃষক কুলকে যদি আপনারা বুঝাতে পারেন, তারা চায় যত পয়দা করতে তার সুযোগ সুবিধা পেলে তারা পয়দা করবে এবং তারা এগিয়ে আসছে, তাদের নেতৃতু দিতে হবে আপনাদের সবাইকে। যাতে বাংলার মানুষ, বাংলার কৃষক আজকে আর শোষিত না হয় এবং সুষম বন্টন হয়, সেদিকে আপনাদের নজর দিতে হবে । আমি বিশ্বাস করি বাংলার কৃষক আপনাদের সামনে থাকবে, আপনাদের সংগামে। বাংলার শ্রমিক, তাদের দোষ দিয়ে লাভ নাই। বাংলার শ্রমিকদের দোষ দিয়ে যারা বক্তব্য দেয় তাদের সঙ্গে আমি একমত নই।
আমি নিজে ১৪৪ কাজ করতে চায়। আপনারা অসন্তুষ্ট হবেন না। আমি সোজা কথা বলি, যদি কিছু সংখ্যক আমাদের দেশের এডমিনিস্ট্রেতে যারা আছেন, তারা আর কিছু সংখ্যক শ্রমিক নেতারাই এদেশে গোলমাল সৃষ্টি করেন। শ্রমিকদের আমি দোষ দিবার পারর না। সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে। তারা কাজ করতে চায়, তারা স্ট্রাগল করতে চায়, তারা বাচতে চায়, তারা মুক্তি চায়, তাদেরও কিছু অভাব-অভিযোগ আছে- সেইগুলি আপনাদের নজর দিতে হবে। কিন্তু সোসালিজমের রাস্তা এত সোজা নয়, এটা বড় কঠিন রাস্তা।
আজ যেখানে, আমি সেদিন বলেছিলাম বোধ হয় ছাত্রলীগের সভায় যে, সোসালিজম যেখানে শুরু হয়েছে সে সোভিয়েত ইউনিয়নে আজ ১৫ বৎসর হয়ে গেছে সোসালিজম করতে পারেনা। এখনও ঘাত-প্রতিঘাতে অগ্রসর হচ্ছে, নতুন নতুন তাদের পথ জানতে হচ্ছে। এ রাস্তা সোজা রাস্তা নয়, এ রাস্তা কঠিন রাস্তা । আর আপনারা সাড়ে সাত কোটি লোক, দুইশ বছর, সোয়া দু’শ বছর ধরে গোলাম ।
যুদ্ধে আপনাদের সব শেষ হয়ে গেছে। দু’এক মাসের মধ্যে সমস্ত কিছু পেয়ে যাবেন যারা আশা করে, তারাও পাগলা গারদে বাস করছে, যারা ভরসা করে, তারা পাগলা গারদে বাস করছে, আর যারা ওয়াদা করে তারাও পাগলা গারদে বাস করছে। কারণ, এত তাড়াতাড়ি কিছু দিবার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের হাতে চাল নাই। আমরা একটা সিষ্টেম নিয়েছি, যে সিষ্টেমে আমাদের কোন অসুবিধা হতো না যদি সোসালিজম না নিতাম । আজকে যদি আমরা হুকুম দিয়ে দিতাম সব চালাও, সব করো, দেখতেন কি অবস্থা হতো, কোনদিন জমা হতো না।
কিন্তু যে রাস্তায় যাচ্ছি, তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের কি করতে হতো, যদি আমরা বিভিন্ন বিগ্রবের পরে যদি এখানে এসে সে শোষক গোষ্ঠির হাতে দিয়ে দিতাম সমস্ত অর্থনীতি, তাহলে এখানে আবার আমাকে আবার কি জানি কার বিপ্রব করতে হতো । তাতে উপায় ছিল না। কিন্ত যখন আমাকে আঘাত করতে হয়েছে, বুঝে শুনে আঘাত করেছি। যে যা এ নিয়ে আর মাথা তুলে উঠে দীড়াতে দেয়া যাবে না।
চালিয়ে নিজের হাতে নিয়ে নিতে হবে। ব্যাংক, ইন্সুরেস, কোম্পানী, মিল-ইভাস্ট্রিজ, ইমপোট-এক্সপোর্ট যদ্দুর পারা যায় হাতে নিয়ে নেও। কষ্ট হবে, বুঝতে হবে এক্সপিরিয়ে্স নাই। আমাদের মানে কি জানি হয় প্রার্থনাই করতে হবে। কিন্তু মানুষের কষ্ট হবে। ভবিষ্যতে, অদূর ভবিষ্যতে সোসালিজমে কয় আজকে লেট করা যায় না। ১০ বৎসর, ২০ বৎসর, ২৫ বছর পর লেট করা যায়। এইটা মানুষকে বুঝতে হবে, যারা সোমালিজমে বিশ্বাস করে, যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা না বুঝলে উপায় নাই। সোজা রাস্তায় হয় না। সেজন্য সে পথ আমাদের ছাড়তে হবে।
ধরেন, আপনারা আমরা বাঙালী, আমরা বাংলা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি, এরমধ্যে কোন কিন্তু নাই, আমরা সমাজতন্ত্র বিশ্বাস করি, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেছি, গণতন্ত্র অর্থ লাইসেন্স নয়। আদর্শের বিরুদ্ধে কথা বলার সামর্থ কারো নাই। নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কোন ক্ষমতা নাই। যখন শাসনতন্ত্র আমাদের চারটা আমাদের স্তস্ত রয়েছে, কারো বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা কখনো নাই। একদিকে সমাজতন্ত্রের কথা বলবো আর আরেক দিকে গোপনে সম্রাজ্যবাদের সাথে হাত মিলাবে।

বুঝি না ভাই, আমি একটু কনফিউসজড হয়ে যাই, আমি বুঝি না, আমার কাছে মাথার মধ্যে, আপনারা বড় বড় ফিলোসোপার আছেন, বড় আপনারা বুঝতে পারেন, আমি অতখানি বুঝিনা। আমি সোজা বুঝি যে সম্প্রদায়িক আর সমাজতন্ত্র পাশাপাশি চলতে পারে কেমন কইরা আমি জানি না, আমি শিখি নাই আমার রাজনৈতিক জীবনে । আমার সেটা শিক্ষা হয় নাই এখন পর্যন্ত, আমার চলার পথে সে শিক্ষা হয় নাই। তো ক্ষতিটা আপনাদের, আজ সমাজতন্ত্রের কথা বলবে আর সাম্প্রদায়িকতার কথা বলবে। বাংলার মাটিতে আমি মনে করি আপনাদের সকলের উচিত।
কারণ আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভিত্তিক তাদের ঐক্য স্তরোগান দিয়া ধর্মের নামে স্রোগান দিয়া কিছুটা তাদের খারাপ পথে নেয়া যায়। যখন দেখে যে কোন মতে মানুষের সমর্থন আদায় করতে পারছে না, তখন তারা সাম্প্রদ শ্লোগান দিবার আরম্ত করে, বিপ্লবী হয়ে যায়, আমার দুঃখ হয় সেখানেই। আমার তথা কথিত বিপ্লবী ভাইয়েরা আমার। সেজন্যই আমি, আপনারা মাপ করবেন আমি বলেছিলাম, আপনারা কমিনিষ্ট পার্টির সদস্য, বাংলাদেশ কমিনিষ্ট পাটির আপনারা সদস্য, আপনারা কমিনিষ্ট পার্টির মনোফুল্লি, আপনারা এখন আর নেই বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে।
কারন, এতো কমিনিষ্ট, গোপনে গোপনে এত কমিনিষ্ট আর এতো সোসোলিষ্ট পাটি, আর এতো প্র্রেসিভ পাটিং হয়ে গেছে, যে মসিবতে পড়ে গেছি আমরা । তবে আমরা এইটুকু বুঝি যে, আপনাদের সঙ্গে আমাদের নীতির মিল আছে। আমরা সোজাসোজি এক হতে চেয়েছি, সে জন্য আপনারা সমর্থন করেছেন। আমার মনে হয় জনাব মাক্স, মার্স, মার্জ বাহাদুর বোধহয় বিপদে পরে গেছেন। তাকে নিয়ে আপনারা আমরা টানা টানি শুরু করে দিয়েছি যে তার কোন আর সীম নাই। কত যে মার্ক, পাটি বাংলাদেশে হয়েছে তার কোন সীমা নাই।
এ গ্রুপ, ও গরপ, ওখানে, ওখানে, আবার মধ্যে মধ্যে কমিনিষ্ট আমার সাম্রাজ্যবাদের সাথে গোপনে ষড়যন্ত্র, আবার বিদেশী শক্রর সঙ্গে স্বাধীনতাকে আঘাত করার চেষ্টা, আমরা বিপদে পরে গেছি বুঝতে পারি না বলে কনফিউজ হয়ে যাই। এখন কিছুটা চিনতে পেরেছি এজন্য-যে, আপনারা যখন পরিস্কার… সমর্থন করেছেন, আপনারা আমাদের সঙ্গে একমত, আপনারা সোসালিজম করছেন ।
তখন মনে হচ্ছে যেন, তারপরে যারা সোসালিষ্ট কান্ট্রি করেছেন, সোসালিজম করেছেন, তারা যখন আমাদের দিকে সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে এবং আমাদের পাশে দাড়াচ্ছে, দুর্দিনেও দাড়িয়ে ছিল, আজও দাড়াচ্ছে। সে দিক দিয়ে একটু ভালো আপনরাই বোধ হয় একমাত্র সমর্থন করতে পারেন, মাঝে মধ্যেই আমরা কনফিউশ হয়ে যাই। যাই হউক আপনাদের ফিলোসোফির ব্যাপার, আপনারা ফিলোসোফি করেন, আমার আপত্তি নাই। তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমরা অতো ফিলোসোফি বুঝি না, সোজা কথা বুঝি, সোজা চিনি, সে পথে চলছি।
আপনাদের আমি মোবারকবাদ জানাই সেজন্য যে আপনারা আছেন। কিন্তু আমার সবচেয়ে দুঃখ হয় কি, ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে আমি কথা বলবো, কেন ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে কথা বলবো? যা কিছু আমি ভারতের নাম নিয়ে একটু স্লোগান দেই একটু। কিন্তু কারা বলে একথা, ভারত আমার প্রতিবেশী।
কালকে খবরের কাগজে দেখলাম, এ কয়েকদিন আগে গভঃমেন্টের পার্লামেন্টের উত্তরে বলা হয়েছে যে, প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা আমার বাংলাদেশের মানুষ যখন পাকিস্তানের অত্যাচারের চোটে টিকতে না পেরে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল, সাড়ে তিনশ কোটি টাকার সম্পদ তাদের খাওয়াতে হচ্ছে ভারতবর্ষকে। সে জন্য আজকের ভারতবর্ষ আজকে সাফার করছে।
আজ আট লক্ষ টন খাবার বাংলার মানুষকে স্বাধীনতার পরে দিয়েছে। তারা আমার বন্ধু রাষ্ট্র। তারা আমার দুর্দিনের বন্ধু। আজকে, আমি আমেরিকার বন্ধুত্ব চাই, আমি বন্ধুতু চাই, আমি ব্রাজিলের বন্ধুতু চাই, আমি জাপানের বন্ধুত চাই, আমি দুনিয়ার সব দেশের বন্ধুতু চাই। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে ভারত আমার বন্ধু, তার ভয়ে আমার কথা বলতে হবে।
সোভিয়েত আমার বন্ধু, তার বিরুদ্ধে আমার – প্রপাকান্ডা করতে হবে। এটা আমি বুঝতে পারিনা । আমার বন্ধু, বন্ধু পুরান ভালো। শাড়ি নতুন, ভালো কিনবেন। মাফ করবেন। বন্ধু আমি করতে চাই, যারা আমার বন্ধু। আমি সবার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই, আমি আমেরিকার সাহায্য নিয়েছি, আমাকে দাও।
সোভিয়েতও আমেরিকার সাহায্য নিয়েছিল বিপ্রবের পরে। আমি সবার সাহায্য নিচ্ছি, আগে সাহায্য দেও আমাকে, আমি আমার দেশকে গড়তে চাই। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। আমার ফরেন পলিসি, নন এলাইন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফরেন পলিসি । আমার বন্ধুত্ব নষ্ট করার চেষ্টা করলে সেখানে আমি নাই। বন্ধুত্ব আমার আছে, বন্ধৃতু আমার থাকবে, সকলের সঙ্গে বন্ধতু আমি করতে চাই, কারো সঙ্গে দুশমনি আমি করতে চাইনা, এই হলো আমার বাংলাদেশের সরকার পলিসি ।
কিন্ত আজকে একদল লোক হয়েছে তাদের স্লোগান হলো যে, আমরা কারো পকেটে চলে গেছি, আমরা ভারতের পকেটে চলে গেছি। যে দেশ ত্রিশ লক্ষ লোকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সে দেশ কারো পকেটে যেতে পারে না, এটা মনে রাখা দরকার | আজ পর্যন্ত দেখি নাই যে, আমার বন্ধু রাষ্ট্র কোনদিন আইসা আমাদের কোন কাজে ইন্টারফেয়ার করেছে সেটা আমি দেখি নাই। আমরা বন্ধৃতু সকলের সঙ্গে চাই। সব আমাদের, সকলের সঙ্গে, দুনিয়ার সকল কমিনিটির সঙ্গে বন্ধুতু আমরা চাই।
আমরা নন এলাইন ফরেন পলিসি বিশ্বাস করি। আমাদের পলিসি ক্লিয়ার, এর মধ্যে কোন কিন্ত নাই কিছু। কিন্ত তারা আজকে বাংলাদেশের মধ্যে… ৷ ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলাতো অন্য কিছু নয়, কমিউনিজম, সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা, আর কিছু না। আপনারা কি মনে করেন যে, বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতা হবে? আমার বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক নয়।
বাজে কথা। এরা ভুলে গেছে যে পাকিস্তারিরা দুনিয়ার যত সাম্প্রদায়িক ভাষণ ছিল তা সব ভাষা ব্যবহার করে, তারপরে অস্ত্র এনে, তারপরে সৈন্য এনে, বাংলার মানুষকে দাবাতে পারে নাই, বাংলার মানুষকে ভুলপপথে নিতে পারে নাই। তাদের ফিলোসফি ভুল হয়ে যাবে । এখনতো শুধু বক্তৃতা করবে, পাকিস্তানী অস্ত্রতো পাবে না, পাকিস্তানের সৈন্যতো পাবি না, চায়না থেকেও এরোপ্রেনে করে অস্ত্র আসবে না। তাহলে তোমাদের সুবিধা হবে না, সাম্প্রদায়িকতা করেও রাস্তা ছেড়ে দাও ভাই, ও রাস্তা খারাপ।
সাম্প্রদায়িক মানুষ, সংকীর্ণ মানুষ, নীচ মানুষ কোন প্রকৃতিকে সে বিশ্বাস করতে পারে না, এজন্য সাম্প্রদায়িকতা বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলতে হবে। কারণ আমরা তো একথা বলিনা, যখন নিরপেক্ষতা, তখনতো আমরা বলি যে প্রত্যেকে- আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ, আমরা বলি। কারণ আমরা তো বলবো প্রত্যেকটা মানুৰ তার ধর্মকর্ম করার অধিকার আছে, তারে আমরা বাধা দেবনা, মুসলমান তার ধম-কীম করবে, তারা করবে, কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। একজনের ধর্শে অন্যে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
এটা আমাদের ক্রিয়ার আছে, তবুও প্রুদায়িকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতেছে। সুর হি বা কর কেনা আমরা বাংলার মানুষ দুঃখী মানুষ, বাংলাদেশের অভাগাদের অভাব নাই। আমাদের সবকিছুই আজকে আমাদের নতুন করে গড়তে হবে। আমরা আজকে সেজন্যই বাংলার যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে, বাংলার কৃষক-ছাত্রকে এগিয়ে আসতে হবে, বাংলার মজুরদের এগিয়ে আসতে হবে, বাংলার বুদ্ধিজীবিদের এগিয়ে আসতে হবে । নতুন শপথ নিয়ে নতুনভাবে রর গলি রাডার চাই।
কঠিন রাস্তা, যারাc করি, যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে, যারা জাতীয়তাবাদকে বিশ্বাস করে, ধর্ম নিরপেক্ষতা বিশ্বাস করে- তারা কীধে কীধ মিলিয়ে নতুন দৃঢ়তা নিয়ে অগ্রসর হউক, সেটাই আমি কামনা করি। আপনাদের এই কংগ্রেসে সাফল্য মন্ডিত হউক এই কামনা করে আপনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আমি বিদায় নিতে চাই।
খোদা হাফেজ ।
জয় বাংলা ।
আরও পরুন :
- ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘে প্রথম বাংলা বজবন্ধুর এতিহাসিক ভাষণ
- ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালের সাভারে জাতীয় রক্ষী বাহিনীর ৪র্থ দলের শিক্ষা সমাপনি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
- ১৮ আগষ্ট ১৯৭৪ সালের দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
- ১ লা জুলাই ১৯৭৪ সালের জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ | স্পীকার জনাব আব্দুল মালেক উকিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
- ২৮ জুন ১৯৭৪ সাল বঙ্গবন্ধুর সম্মানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ভোজ সভায়
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী; সময়রেখা [ Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman