৫ ডিসেম্বর ১৯৭৪ – পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলসের ৩য় দলের শিক্ষা সমাপনি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ: বাংলাদেশ রাইফেলস ভাইয়েরা, আমাদের অভিনন্দন ও শুভেছা জানাচ্ছি । আমি ধন্যবাদ দিচ্ছি আপনাদের…সাহেবকে এবং কর্মচারীবৃন্দকে যে আমসার সুযোক দিয়েছেন আপনাদের কাছে আসার এবং দু’কথা বলার । বাংলাদেশ রাইফেলস ও জুয়ান ভাইয়েরা এবং কর্মচারীবৃন্দ, আপনারা নিশ্টই আপনাদের ইতিহাস জানেন। আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের কান আপনাদের সকলের স্মরণ আছে।

৫ ডিসেম্বর ১৯৭৪ সালের পিলখানা বাংলাদেশ রাইফেলেসের ৩য় দলে শিক্ষা সমাপনি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
এই বাহিনী নতুন বাহিনী নয়, এর সৃষ্টি অনেকদিন পূর্ব থেকেই শুরু হয়েছোআপনারা সকলেই জানেন বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ জানে যে পাকিস্থান বর্বর বাহিনি জাদিন বাংলার মানুষের উপর আঘাত হেনেছিল বাংলার মানুষের উপর আঘাত হেনেচিল,বাংলাদেশকে বর্বর বাহিনী যেদিন বাংলার মানুষের সেদিন আমার মনে
আছে ২৫ মার্চ তারিখে এই উরতিিলিক পিবখানার উপর চালায়। তারা আক্রমন চালায় আদালত, তারা আক্রমন চালায় নশ্বিদ্যাল়, তারা আক্রমন করে আমার বাস ভবনে। সেদিন আমি যখন পিলখানায় বন্টাক করার চেষ্টা করি, আমি দেখতে পাই যে» পিলখানার উপর তারা আঘাত হেনেছে, চরম আঘাত । আমি বাধ্য হয়ে এই বাংলাদে রাইফেলসেরে চট্টথাম হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা বরি।
সেইখানে আমার ম্যাসেজ পাঠিয়ে দেই। তারা সেই ম্যাসেজ বাংলার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেয়। আপনারা জানেন, সেই দিন এই বাংলার রাইফেল বাহিনীর জুয়ানরা এবং কর্মচারীরা বন্দুক হাতে করে মাতৃভূমিকে. রদ্ধার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। শত শত শহীদ হয়েছিল এই রাইফেল বাহিনীর জুযানরা এবং কর্মচারীরা । শুধু মাতৃভুমিকে তারা ভালবেসেছিল । তারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল । সেই ইতিহাস আজকে এমন পর্যায়ে এসেছে যে, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, বাংলাদেশ আজ দুনিয়াতে স্থান পেয়েছে।

আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। যে জাত স্বাধীনতা পায় না, যে জাত স্বাধীনভাবে বাচতে পারে না, সে দেশের ইজ্জত থাকে না । ভবিষ্যৎ বংশধররা অভিশাপ দেয়। রাইফেল বাহিনীর সাথে সাথে আমার বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর – অস্ত্র ধরেছিল মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য । আজ বাংলাদেশ স্বাধীন, আজ আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক, আজ আমি গর্বিত। আজ সত্যই, আজ আপনাদের দিকে চাইলে আমার বুক বড় হয়ে যায়
। আজ আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠি যে, আজ আমার দেশের পতাকা উড়ে জাতিসংঘের আকাশে । আজ আমার পতাকা উড়ে দুনিয়ার ১৩০টি দেশে । আজ আমি স্থান পেয়েছি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে, গর্ব করতে পারি। আমার জুয়ান ভাইয়েরা, তিন বৎসর হতে চলেছে স্বাধীনতা পেয়েছি। কত রক্ত, কত দুঃখ, কত কান্না- এই বাংলার মাটিতে । আজ আমার মানুষ দুঃখী, আজ তারা না খেয়ে কষ্ট পায়।
আজ প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গিয়েছে প্রায়। তারপর……. আমাদের সর্বস্ব ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। বর্বর বাহিনীর যাওয়ায় আগে সর্বত্র ধ্বংস করেছিল। সাড়ে সাত কোটি মানুষের দেশ পেয়েছিলাম কিন্তু কোন সম্পদ রেখে যাই নাই ।….
(অসমাণ্ত)
আরও পরুন :
- ৪ ডিসেম্বর ১৯৭৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কমিনিষ্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
- ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘে প্রথম বাংলা বজবন্ধুর এতিহাসিক ভাষণ
- ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালের সাভারে জাতীয় রক্ষী বাহিনীর ৪র্থ দলের শিক্ষা সমাপনি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
- ১৮ আগষ্ট ১৯৭৪ সালের দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
- ১ লা জুলাই ১৯৭৪ সালের জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ | স্পীকার জনাব আব্দুল মালেক উকিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী; সময়রেখা [ Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman