২৫ অক্টোবর ১৯৭৩ । জাপান থেকে ভ্রমণ শেষে তেজগাঁও বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

২৫ অক্টোবর ১৯৭৩ সালের জাপান থেকে ভ্রমণ শেষে তেজগাঁও বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সামনে  বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেন। তিনি জানান সফর সফল হয়েছে এবং তারা আমাদের প্রবলেম জানে এবং জাপান সরকার, জাপানের জনসাধারণ সকলের জন্যই আমাদের সহানুভূতি আছে।

 

২৫ অক্টোবর ১৯৭৩ সালের জাপান থেকে ভ্রমণ শেষে তেজগাঁও বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সামনে ভাষণ

 

২৫ অক্টোবর ১৯৭৩ সালের জাপান থেকে ভ্রমণ শেষে তেজগাঁও বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সামনে ভাষণ

স্বাধীনতার সংঘামে জাপানের জনসাধারণ যথেষ্ট সহানুভূতি দেখিয়েছে এবং সাহায্য করেছেন এবং আমি গ্রামে গ্রামে গিয়েছি সেখানেও বাংলাদেশের লোকের মতো রাস্তায় রাস্তায় স্টেশনে স্টেশনে শত শত লোক সেখানে জমা হয়েছিল, তারা আমাকে তাদেরই একজন ভাবতে আরম্ভ করেছে। আমার খুব ভাল লেগেছে তাদের আন্তরিকতা দেখে এবং সহানুভূতি দেখে। সরকারের সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে_ তা ফলপ্রসু হয়েছে এবং আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের বন্ধুত্ব আরো সুগভীর হবে।

প্রাইম মিনিষ্টারের সাথে আমরা তিন ঘন্টা ওখানে ছিলাম, তাঁর ওখানে ইফতার করি, এবং তার সঙ্গে দুই দেশের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি কারণ তারা বাংলাদেশকে সব সময় পুর্ণ সমর্থন দিয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে বাংলাদেশকে একচেটিয়া সমর্থন দিয়েছে। এজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ দিয়েছি। তবে দেখলাম সামান্য সময়ের মধ্যে জনগণের একটা সমর্থন বাংলাদেশের জনগণের প্রতি রয়েছে। ফিলিপাইনেও আমি নেমেছিলাম, এক ঘন্টা সেখানে ছিলাম । আমি এয়ারপোর্ট থেকে হেলিকপ্টার করে প্রেসিডেন্ট প্রেসে যাই।

২৫ অক্টোবর ১৯৭৩ । জাপান থেকে ভ্রমণ শেষে তেজগাঁও বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

সে দেশের মানুষ, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট আমাকে সংবর্ধণা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের সমস্ত খবরই রাখেন, তারাও বাংলাদেশের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে। ব্যক্তিগত আলোচনায় অনেক সময় দু’দেশের নীতি এবং আদর্শ বুঝা যায়। বিশেষ করে জাপানের সরকার, জনসাধারণ, বাংলাদেশকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখে । তারা আমাদের অসুবিধা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, একটা ধ্বংসম্তপ দেশ। স্বাধীনতা সংখামে পাকিস্তানিরা

উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধ্বংস করে গিয়েছিল আমাদের সবকিছু । আমরা যে পাঠশালা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, তারা যথেষ্ট উৎসাহ দেখিয়েছেন । বিশেষ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ না দিয়ে পারিনে এবং তাদের মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দকে। জাপান বাংলাদেশ মৈত্রি সমিতি খুব শক্তিশালি প্রতিষ্ঠান।

খোদা হাফেজ। জয় বাংলা

Bangabandhu Gurukul

 

আরও পরুন :

Leave a Comment